বিজয় ও নানারূপী নমরুদ

হাসান বিন নজরুল
০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ভারত আর লীগ গেল তল,

আনসার বলে কত জল!

ওরা ঝিলে ঢালে মল,

লীগার বলে ভারত চল।

 

ভারত গিয়ে হুংকার দেয়,

মুই কেঠা হনু রে!

মোদী বলে ছাড়ি জল?

ওলু আমার জানু রে!

 

মোদীর জলে ভাসলো নিজে,

ভাসালো এ জনপদ,

তবুও তো আমরা খুশি,

পালিয়েছে মূল আপদ।

 

এই আপদটা চেয়েছিলাম

বহু আগে বিদায় হোক,

শুধু শুধু জোর করে-

পিতৃ মরার চাপায় শোক।

 

এই শোকটা মেকী জানি,

জুলুম করার ধান্দা বিশেষ,

ফাঁকে ফাঁকে মোদীর ভারত-

লুটে চলে সব অনি:শেষ।

 

মুজিব যখন রঙটা মেখে-

শুয়ে ছিল সিঁড়িতে,

জাতির তখন তীব্র খুশি,

যেন বিয়ের পিঁড়িতে।

 

বিয়ের পিঁড়িও এতটা সুখ-

দেয় কোন মানুষকে,

যতটা সুখ পেয়েছিল,

ফেরাউনের মৃত্যুতে।

 

বারে বারে নমরুদেরা

নানান রূপে হাসে,

কখনো সে মুজিবরূপী,

ফের হাসিনা আসে।

 

অগণিত লুটপাট আর-

জুলুমতন্ত্রের অবসানে,

জাতি হলো ঐক্যবদ্ধ,

ভারত শত্রু সবাই জানে।

 

এই জানাটাই দরকার ছিল,

সকল বাংলাদেশীর,

আগামীর দিন উজ্জ্বলতার,

আগামীকাল হাসির।

 

বুকে আগলে রাখতে হবে-

চব্বিশের এই স্বাধীনতা,

ভারতমুক্ত বাংলাদেশ আজ,

এটাই আসল স্বার্থকতা।

 

পাঁচই আগষ্ট বিজয় দিবস,

সদ্য মুক্ত বাংলাদেশ ভাই,

তবু সাবধান থাকতে হবে,

শকুন আছে পাশে তাই।

 

এই শকুনটা ক্ষুদ্র আত্মার

চাইলো মোদের দাসত্বই,

সময় আসুক টুকরো হবি,

হারাবি সব পশুত্বই।