বাংলাদেশে দক্ষ জনসম্পদ উন্নয়নে সংকট ও সাম্ভাব্য সমাধান

০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

একটি রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধির জন্য অন্যতম শর্তাবলী হল-

 

১। জাতীয় ঐকমত্যের মাধ্যমে জাতীয় লক্ষ্য নির্ধারন করা।

২। সমৃদ্ধ ও টেকসই অর্থনীতি।

৩। সমকালীন শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন উপযোগী শিক্ষাব্যবস্থা ও সমরশক্তি।

৪। সংখ্যাগরিষ্ট ধর্মীয় জনগোষ্ঠীর মূল্যবোধ অনুযায়ী সাহিত্য ও সংস্কৃতি চর্চা। কেননা, দুনিয়ার সকল দেশ গঠিত হয়েছে একটি ভৌগোলিক সীমানার মধ্যবর্তী সংখ্যাগরিষ্ট জনগণের ধর্মীয় ঐক্যের ভিত্তিতে।

 

অমিত সম্ভাবনার দেশ বাংলাদেশ। এদেশের রয়েছে ৬৮ শতাংশ যুব জনসম্পদ। আমাদের জাতীয় নেতৃবৃন্দ আমাদের জনসংখ্যাকে জনসম্পদে পরিণত করতে ব্যর্থ হয়েছে। বহির্বিশ্বে আমাদের অদক্ষ বা স্বল্পদক্ষ দেড়কোটি রেমিটেন্স যোদ্ধা শ্রম দিচ্ছেন। তারা যদি নিজ দেশে দক্ষতা অর্জনের সুযোগ পেত তবে রেমিটেন্স খাতে দেশের আয় ৫ গুন বেশি হত। আমাদের আরও দেড় কোটি যুব জনসংখ্যা বেকারত্বের দুর্বিষহ জীবন যাপন করতে বাধ্য হচ্ছে। আমরা যদি এই দেড়কোটি বেকার যুব জনসম্পদকে বিদেশের শ্রমবাজারের চাহিদা অনুযায়ী প্রযোজনীয় কারিগরি প্রশিক্ষণ ও সম্ভাব্য দেশের ভাষা ও মূল্যবোধ শিক্ষা দিয়ে বিদেশে পাঠাই তবে আমাদের রেমিটেন্সও অনেকগুণ বৃদ্ধি পাবো।

 

আমাদের নিজেদের শ্রমবাজার ও সমৃদ্ধ ছিল? বিগত সরকার গ্যাস-বিদ্যুত সরবরাহ সঠিকভাবে না করায়, বারবার মূল্যবৃদ্ধি, শুল্ক বৃদ্ধি, চাঁদাবাজি ও বিমাতাসুলভ আচরণের দ্বারা অনেক বাংলাদেশী শিল্পপতি নিজের কারখানা ভারতীয়দের নিকট বিক্রয় করে দিতে বাধ্য হয়েছে। অন্যদিকে কয়েকটি শিল্পগ্রুপ ভারতীয়দেরকে গ্রুপের ডিরেক্টর করে দেশের শ্রমবাজারে অগনিত ভারতীয়ের কর্মসংস্থান করেছে এবং দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি করার সিন্ডিকেট করেছে। এজন্য প্রকাশিত তথ্য মোতাবেক দেখা যায়, বাংলাদেশে ৩০ লাখ বিদেশী উচ্চপদে চাকুরী করছে যার মধ্যে ২৬ লাখ ভারতীয়। এসব কারণে আমাদের শিক্ষিত যুবকারা চাকরির খোঁজে থাইল্যান্ডের জঙ্গলে  বা ভূমধ্যসাগরে চিরতরে হারিয়ে যাচ্ছে।

 

প্রকাশিত তথ্য মোতাবেক, দেশের প্রায় তিন লক্ষ বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ার ও ১২ লক্ষ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার বেকার। চাকরিরত দেশি ইঞ্জিনিয়ারদের বেতন সমপর্যায়ের বিদেশী ইঞ্জিনিয়ারদের এক চতুর্থাংশ। দলীয় ভিসি ও শিক্ষক নিয়োগের মাধ্যমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বেকার ও অদক্ষ যুবক তৈরি হচ্ছে। দক্ষ জনসম্পদ উন্নয়নের নামে “জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ” (NSDA) সরকারি-বেসরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ, টেকনিক্যাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউট, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় সমূহে বিভিন্ন প্রকল্পের (যথা-STEP/HEQEP/ASSET) এর মাধ্যমে বাজেটের শত শত কোটি টাকা ব্যয় করছে কিন্তু কর্তৃপক্ষের মেধাহীনতা ও দূর্নীতির কারণে প্রশিক্ষনের মান পর্যায়ক্রমে নিম্নমুখী হচ্ছে।

 

একজন ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার তৈরিতে সরকারের ব্যয় হয় ৫ লক্ষ টাকা, অভিভাবকের ব্যয় হয় ৩ লক্ষ টাকা। ছাত্রের জীবন থেকে চলে যায় কমপক্ষে ১৪ বছর। দলীয় অযোগ্য শিক্ষক ও যুগোপযোগী পাঠ্যবই ও প্রশিক্ষনের অভাবে ছাত্রটি ইঞ্জিনিয়ারের সনদ নিয়ে বাস্তব জীবনে প্রবেশ করলে দক্ষতার অভাবে তার চাকরি হয়না, হলেও তার বেতন হয় মাসিক ১০ হাজার টাকা। অপরদিকে তার সমবয়সী একজন শ্রমিক বা রিকশাওয়ালা মাসিক আয় করে ১৫ থেকে ২৫ হাজার টাকা। মেডিকেল কলেজের ছাত্ররা হাসপাতালে হাতে কলমে কাজ করে দক্ষতা অর্জনের সুযোগ পায় কিন্তু একজন ইঞ্জিনিয়ারিং এর ছাত্র এমন সুযোগের অভাবে দক্ষতা অর্জন থেকে বঞ্চিত হয়। এমন অবস্থার অবসান হওয়া জরুরী। বিগত ১৬ বছর যাবত ভারতীয় প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী এদেশের শিক্ষাব্যবস্থা, প্রশাসন, আইন ও বিচারব্যবস্থা বিপর্যস্থ হয়ে দেশ খাদের কিনারে এসে দাঁড়িয়েছে। নতুন সরকার যদি যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহনের মাধ্যমে ঘুরে দাঁড়াতে না পারে তবে জাতি হিসাবে আমরা অস্তিত্বহীনতার সংকটে নিমজ্জিত হব।

 

দক্ষতা উন্নয়নে সংকটের কারনসমূহ-

 

১। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে রাজনৈতিক বিবেচনায় ভিসি নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয় ১৯৯০ এর দশক থেকে। আওয়ামীলীগ একে কলেজ, হাইস্কুল, প্রাথমিক বিদ্যালয়, এবতেদায়ী মাদ্রাসা ও মসজিদের কমিটি ও ইমাম নিয়োগ পর্যন্ত সম্প্রসারিত করেছে। ফলে শিক্ষার্থীরা বাস্তবে দেখছে লেখাপড়া না করে সরকার দলীয় রাজনীতি করলে মসজিদের ইমাম থেকে ভিসি পর্যন্ত পদে আসীন হওয়া যায়। ফলে মেধা ও শিক্ষা মূল্যহীন হয়ে যায়।

 

২। রাজনৈতিক বিবেচনায় সিন্ডিকেট সদস্য ভিসি, শিক্ষক, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পরিষদ গঠিত হওয়ায় নীতিবান, বিজ্ঞ, দক্ষ ও যোগ্য শিক্ষকগণ দেশের কল্যাণে পাঠদান, গবেষনা ও পরামর্শ সেবায় নিরুৎসাহিত হয়ে নিজেদের গুটিয়ে নিতে বাধ্য হয়েছেন। যারা অনিয়মের প্রতিবাদ করেন তাদেরকে দলীয় প্রশাসন ও ক্যাডারবাহিনী বেআইনীভাবে চাকরিচ্যূত, বরখাস্ত বা ওএসডি করে।

 

৩। শিক্ষার গুণগত মান ও দক্ষতা উন্নয়নে শত শত কোটি টাকার বাজেট বরাদ্দ থাকে কিন্তু দলীয় প্রশাসন ও ক্যাডাররা যৌথভাবে এসব অর্থ আত্মসাৎ করে। নগদ প্রাপ্তির আশায় প্রশাসন, শিক্ষক ও ছাত্ররা দলীয় নোংরা রাজনীতিতে গভীরভাবে সম্পৃক্ত হয়। প্রকৃত জ্ঞান অর্জন ও দক্ষতা উন্নয়ন অবহেলিত হয়।

 

৪। দলীয় প্রশাসন ও শিক্ষক নিয়োগে রাজনীতিকীকরণ করার ফলে ডিপার্টমেন্টের সেরা ছাত্রটি শিক্ষক পদে অযোগ্য বিবেচিত হয় কিন্তু তৃতীয় শ্রেণি প্রাপ্তরা অনেকে শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ পায়।

 

৫। প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের প্রধান কাজ হল- সিলেবাসকে শ্রমবাজারের চাহিদা অনুযায়ী যুগোপযোগী করা। দলীয়ভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত অযোগ্য একাডেমিক কাউন্সিলের শিক্ষকগন নিজেরাই শ্রমবাজারে বিদ্যমান আধুনিক প্রযুক্তি, ব্যবস্থাপনা, যন্ত্রপাতি ও সিস্টেমের সংগে পরিচিত নন। তাই তারা যুগোপযোগী ও শ্রমবাজারের চাহিদা মোতাবেক বিষয়বস্তু (contents) সিলেবাসে অন্তর্ভূক্ত করেন না এবং দুই-তিন যুগের পূরনো সিলেবাসে ছাত্রদের পাঠদানের ব্যবস্থা করেন। এটি দক্ষতা উন্নয়নের অন্যতম সংকট।

 

৬। পলিটেকনিক স্কুল, ইনস্টিটিউট, টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ ও টেকনিক্যাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউট পর্যায়ে প্রশিক্ষক, ল্যাব সহকারী, টেকনিশিয়ানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মচারীদের অধিকাংশই অদক্ষ। তারা বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য ক্রয় করা যন্ত্রপাতি স্থাপন ও পরিচালনায় পর্যাপ্ত দক্ষ নয়। কোটাতন্ত্র ও দলবাজি এর প্রধান কারণ। এসব প্রতিষ্ঠানের উর্ধতন কর্তৃপক্ষ বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা যা গাড়ীর ড্রাইভারকে বিমান পরিচালনার দায়িত্ব প্রদানের সমতুল্য। এটি দক্ষ জনবল তৈরির অপর একটি বাধা।

 

৭। প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী ও বিগত ১৬ বছরে নিয়োগপ্রাপ্ত অধিকাংশ শিক্ষক, কর্মচারী রাজনৈতিক কোটায় নিয়োগ প্রাপ্ত। ফলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমূহ এখন শিক্ষার পরিবর্তে অপরাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত। অভিভাবকগণ বাধ্য হয়ে প্রাইভেট টিউটর ও কোচিং সেন্টারে নিজ সন্তানদের শিক্ষা প্রদান করতে বাধ্য হচ্ছে। জনগনের অর্থে পরিচালিত মৌলিক শিক্ষা কার্যক্রম যথাযথভাবে পরিচালিত হলে ৮ম শ্রেণিতে কৃতকার্য হওয়া বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীকে ১ বছর কারিগরি প্রশিক্ষণ প্রদান করে দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তর করা সম্ভব। এতে আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন বহুগুন বৃদ্ধি পাবে।

 

করণীয়

 

১। শিক্ষার্থীদের হার্ডস্কীল ও সফটস্কীল জ্ঞান অর্জনে সহায়ক অবকাঠামো, সুযোগ ও পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।

২। মেডিকেল কলেজ সংলগ্ন হাসপাতালে শিক্ষার্থীরা সরাসরি চিকিৎসাসেবায় অংশগ্রহন করে দক্ষতা অর্জন করতে পারে কিন্তু টেকনিকেল কলেজ বা প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে থিওরি শেখার পর বাস্তব প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নাই বললেই চলে। এ অবস্থার অবসান ঘটালে উচ্চমানের দক্ষ জনশক্তি গড়ে উঠবে।

৩। স্নাতক শেষ পর্বের শিক্ষার্থীদের অন্তত ৬ মাস সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান/শিল্পে শিক্ষানবিস হিসাবে কাজ করার সুযোগের ব্যবস্থা করতে হবে।

৪। সকল শিক্ষার্থীকে উচ্চ মাধ্যমিক ও স্নাতক পর্যায়ে ৩ মাস করে, সামরিক প্রশিক্ষণ প্রদান করতে হবে।

৫। স্নাতক পর্যায়ে সকল বিভাগে সফটস্কীল কোর্সে Institutional & National leadership কোর্স অন্তর্ভূক্ত করা সহ মোট কোর্সের এক তৃতীয়াংশ সফটস্কীল কোর্স নিশ্চিত করা।

৬। প্রত্যেক উপজেলায় এক বা একাধিক Technical Training Institute (TTC) বা Technical School & college (TSC) স্থাপন করে দক্ষ জনশক্তি তৈরি করতে হবে।

৭। বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষাবোর্ডে দীর্ঘদিন কর্মরত কতিপয় দূর্নীতিবাজ, ঘুষখোর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অপসারন করে তদস্থলে সৎ, দক্ষ ও দেশপ্রেমিক কর্মকর্তা-কর্মচারী প্রতিস্থাপন করতে হবে। BTEB অধিভূক্ত সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহের জনবল, যন্ত্রপাতি, উপকরণ, দক্ষ প্রশিক্ষক ও অবকাঠামো সুবিধা নিশ্চিতকরণ।

৮। যেসব বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ন্যূনতম দক্ষতা উন্নয়নের ব্যবস্থা নাই সেসব প্রতিষ্ঠানের অধিভূক্তি বাতিল করে তদস্থলে কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালু করতে হবে। বেকার তৈরির কারখানা থাকার কোনো প্রয়োজন নেই।

৯। কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের পরিদর্শন শাখা ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ শাখার দুর্নীতি পরায়ন কর্মকর্তা কর্মচারীদের অপসারন করে তদস্থলে সৎ, দক্ষ ও দেশপ্রেমিক কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ কারতে হবে।

১০। জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (NSDA) এর নির্বাহী চেয়ারম্যানসহ সকল পদে দক্ষতা উন্নয়নে সংশ্লিষ্ট ও পারদর্শী সৎ, দক্ষ ও কমিটেড জনবল নিয়োগ করতে হবে।

১১। NSDA র অধীনে একটি সেল থাকবে। যাদের কাজ হবে স্থানীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক শ্রমবাজারের চাহিদা নিরূপন করা। অতপর NSDA উক্ত চাহিদা মোতাবেক সংশ্লিষ্ট পেশার জন্য দক্ষ জনবল তৈরি করে, তাদেরকে সংশ্লিষ্ট কর্মস্থলের ভাষা ও মূল্যবোধ শিক্ষা দিতে হবে।

১১। বাংলাদেশ সরকারের দক্ষতা উন্নয়নের উল্লেখযোগ্য উদ্যোগ হল-জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনা। কিন্তু এ কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান, সদস্য, পরিচালক, উপ-পরিচালক স্তরের অধিকাংশ কর্মকর্তা প্রশাসন ক্যাডারের। এ অবস্থার অবসান ঘটিয়ে বিভিন্ন প্রয়োজন মোতাবেক দক্ষ প্রকৌশলীদের এসব পদে পদায়ন করতে হবে।

 

সমাধান

 

১। সকল পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র ও শিক্ষক রাজনীতি বন্ধ করতে হবে। রাজনৈতিক নিয়োগ, পদোন্নতি, অপসারন বন্ধ করতে হবে। যারা ইতিমধ্যে নিজেদেরকে দেশবিরোধী রাজনীতিক হিসাবে চিহ্নিত কারেছে তাদেরকে দ্রুত অপসারণ করতে হবে।

২। UGC ছাত্রদের আচরনবিধি প্রণয়ন করবে। প্রার্থী হওয়ার অতপর প্রত্যেক কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের ব্যবস্থা করবে। ছাত্র সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার অন্যতম শর্ত হবে ছাত্রজীবনে সে কোন রাজনৈতিক দলের সাথে সম্পৃক্ত হতে পারবে না।

৩। মেধা, যোগ্যতা ও দক্ষতা সম্পন্ন দেশপ্রেমিক শিক্ষকদেরকে ভিসি/প্রো-ভিসি/অধ্যক্ষ/শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে।

৪। ৫ আগস্টে ২০২৪ এর পূর্বেকার সিন্ডিকেট ও একাডেমিক কাউন্সিল সমূহ বাতিল করে মানসম্পন্ন সিন্ডিকেট ও একাডেমিক কাউন্সিল গঠন কারতে হবে।

৫। দেশপ্রেমিক ও দক্ষ নাগরিক সৃষ্টির উপযোগী শিক্ষাব্যবস্থা, পাঠ্যপুস্তক ও সিলেবাস প্রণয়ন করতে হবে।

৬। প্রতিটি বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয়ে কমপক্ষে একটি Skills and Professional Development Industry (SPDI) স্থাপন করতে হবে।

৭। স্বচ্ছতা, যোগ্যতা, দক্ষতা ও নৈতিকতার মানদন্ডে উন্নীত ব্যক্তিদেরকেই নিয়োগের জন্য উপযুক্ত মনে করতে হবে। উন্নত নৈতিক চরিত্র ব্যতীত সকল ভাল উদ্যোগই ব্যর্থ হয়।

 

লেখক- সাবেক ডীন

(ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুর)