১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বরের পর থেকে
বাংলাদেশের ইতিহাস-সাহিত্য-সংস্কৃতি, উপন্যাস, নাটক, সিনেমা, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক
মিডিয়ায় এমন সব বিষয় প্রকাশ কারা হয়েছে, লিখা হয়েছে, পড়া হয়েছে, পড়ানো হয়েছে
এবং প্রচার করা হয়েছে যা দেখলে, জানলে মনে হবে বর্তমান বাংলাদেশ ভূখন্ডটি ১৯৭১ সালে
হঠাৎ করে আকাশ থেকে নাজিল হয়েছে একজনের ভাষনে ও অন্যজনের ঘোষনায়। সত্যিই কি তাই?
১২০৩ সালে ইখতিয়ার উদ্দিন মুহাম্মদ
বিন বখতিয়ার খলজি কি নিষ্ঠুর অমানবিক ও বর্ণবাদী জালিম শাসক লক্ষ্মন সেনকে পরাজিত
করে বাংলার মুসলমান শাসন প্রতিষ্ঠা করেননি? তার প্রতিষ্ঠিত রাজধানী বর্তমানের নদীয়াতে
অবস্থিত ছিল। অন্যায্য দেশবিভাগের সময় আরো অনেক মুসলিম অধ্যুষিত এলাকার ন্যায় এই
অংশ পাকিস্তানকে দেয়া হয়নি। ১২০৪ সালে বখতিয়ার খিলজি নির্মিত মসজিদটি রংপুর শহরের
আফানউল্লা রোডের পাশে মাখায় ৫টি বটগাছ নিয়ে এখনও দাঁড়িয়ে আছে।
মুসলিম জাতীয়তাবোধে ঐক্যবাদ্ধ হয়ে
১৯৪৭ সালের ১৪ই আগস্ট ইঙ্গ-হিন্দু জোটের শাসকদের বিরুদ্ধে নেংটিপরা ভূমিহীন মুসলমানরা
লড়াই করে নিজেদের জন্য একটি ভূখন্ড পাকিস্তান প্রতিষ্ঠা করলেও আমাদের ইতিহাস-অজ্ঞ
রাজনৈতিক ও ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ বাংলাবিজয়ী ইখতিয়ার উদ্দিন মুহাম্মদ নির্মিত মসজিদটি
পূনরুদ্ধার বা পূননির্মানের প্রয়োজন অনুভব করেনি। উল্লেখ্য, ১৮৫৭-৫৮ সালের রক্তক্ষয়ী
সিপাহী বিদ্রোহখ্যাত স্বাধীনতাযুদ্ধে ভারতের সকল অমুসলিম শক্তি ইংরেজদের পক্ষাবলম্বন
করায় মুসলিম শক্তি ইংরেজদেরকে ভারতছাড়া করতে পারেনি। এই পরাজয়ের পর সমগ্র ভারতে পাইকারিভাবে
মুসলমানদের হত্যা করা হয়। ১৮৬০ সালে রংপুর জেলার হিন্দু জেলা প্রশাসক ইখতিয়ার উদ্দিন
মুহাম্মদ নির্মিত মসজিদ ও এর আশেপাশের এলাকা হিন্দু মেথরদের নিকট দীর্ঘমেয়াদে ইজারা
দেয়। ফলে মেথররা উক্ত মসজিদে শুকর বাখে। আমি ২০১০ ও ২০১১ সালে ইতিহাস অন্বেষা পত্রিকার
কভারে মসজিদের ছবি ও ইতিহাস ছেপে ৪ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতা ও অন্যান্য গ্রুপের শীর্ষ
আলেমদেরকে নিজ হাতে এই পত্রিকা বিলি করেছি কিন্তু কারো কোন প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করিনি।
১২০৩ খ্রীষ্টাব্দ থেকে ১৭৫৭ খ্রীঃ
পর্যন্ত নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে ৫৫৪ বছর সমগ্র ভারতে মুসলিম শাসন অব্যাহত ছিল। বাংলার ক্ষেত্রে
পনের শতকে মুসলমান শাসকদের উদারতায় শক্তি অর্জনকারী রাজা গনেশ সর্বসাকুল্যে আড়াই বছর
বাংলাদেশের মুসলিম শাসন উৎখাত করেছিল। রাজা গণেশের আড়াই বছরের শাসনের মুসলিম নিধনের
ইতিহাস আমাদের ইতিহাসের ছাত্রদের পড়ানো হয়না। বাংলাদেশের সাধারণ ইতিহাস ও ইসলামের
ইতিহাস নামক দুইটি বিষয় পড়ানো হয়। পাঠ্যসূচী ইঙ্গ-হিন্দু প্রণীত। মুসলিম শাসক ও
ইতিহাসবিদদের এসব বিষয়ে গঠনমূলক ও সঠিক ইতিহাস দিয়ে পাঠ্যসূচি করার চিন্তা কখন ও কি
আসবে?
১৭৫৭ সালের পলাশী বিপর্যয় একদিনের
চেষ্টায় আসেনি। এর ছিল প্রধানত তিনটি পর্যায়। এগুলি যথা যথাক্রমে-
১। ১১৯৯ সালে দিল্লী কেন্দ্রীক মুসলিম
শাসন প্রতিষ্ঠিত হত্তয়ার পর থেকে ১৫৫৬ সালে সম্রাট আকবরের ক্ষমতারোহন পর্যন্ত সুলতানী
ও মোগল প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ ও উচ্চপদে কোন অমুসলিম ছিল না। মোগল সম্রাট হুমায়ূনকে
দিল্লীর শাসক হিসাবে প্রতিষ্ঠায় প্রধান ভূমিকা ছিল বৈরাম খানের। হুমায়ুনের ইন্তেকালের
সময় বৈরাম খানকে বালক সম্রাট আকবরের অভিভাবক হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করা হয়। আকবর
বয়োঃপ্রাপ্ত হলে অভিভাবক মুক্ত হতে কৌশলে বৈরাম খানকে হত্যার ব্যবস্থা করে এবং নিজে
মুসলিম সেনাপতিদের রোষ থেকে রক্ষা পেতে হিন্দু রাজপুত জাতির সাথে সখ্যতা করে। রাজপুতরা
এবং অন্যহিন্দুরা আকবরকে সর্বমোট ৫ হাজার কন্যাদান করে এবং সাম্রাজ্যের বড় বড় পদসমূহ
দখল করে। এরই ধারাবাহিকতার নবাব সিরাজের প্রশাসন এবং দিল্লীর প্রশাসন হিন্দুদের করতলগত
হয়। অতপর ১৭৫৭ সালে বাংলা-বিহার-উড়িষ্যা ইঙ্গ-হিন্দু দখলে যায়, আর ১৮৫৭-৫৮ সালে
সমগ্র ভারত ইঙ্গ-হিন্দু দখলে যায় এবং মুসলিম শাসন উৎখাত হয়।
২। সম্রাট আওরঙ্গজেবের আমলে ১৬৭৪ সালে
ইংরেজ দূত হেনরি অক্সিনডেন্ট গোপনে বর্গীদস্যু সর্দার শিবাজীর পার্বত্য দূর্গে উপস্থিত
হন। অতপর ভারতবর্ষ থেকে মুসলিম শাসক উৎখাতে ইংরেজ ও শিবাজীর মধ্যে লিখিত চুক্তি হয়।
চুক্তি অনুযায়ী ইংরেজগণ শিবাজীর দলকে আধুনিক অস্ত্র ও প্রশিক্ষন দেয়। শিবাজী শক্তিশালী
হয়ে বিওশালী মুসলমানদের এলাকাসমূহে লুন্ঠন ও হত্যাকাণ্ড তীব্র করে। ফলে অনেক এলাকায়
মুসলমানরা হীনবল হয়।
৩। ইংরেজ বণিক জবচার্নক নৌপথে ভারত
উপকূল পরিদর্শন করে দেখতে পান- কেবলমাত্র বাঙালি হিন্দুদের নৈতিকতার মান খুবই নিম্নমানের।
এদের দিয়ে অর্থের বিনিময়ে যেকোন নিকৃষ্ট কাজ করানো যাবে। অতপর জব চার্নক কলিকাতা গ্রামের
ব্রাহ্মনদেরকে দিয়ে একাটি কালীমন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। মন্দিরের চারিপাশে শতশত কামরা
ঘর নির্মান করা হয়। তখন অরক্ষনীয়া আইনে সমাজচ্যুত হওয়ার ভয়ে কন্যাদায়গ্রস্থ পিতাগন
ব্রাহ্মনদের কন্যাদান করে নিষ্কৃতি পেত। ফলে প্রায় সকল ব্রাহ্মানের স্ত্রীর সংখ্যা
তিনশ থেকে চারশ জনে উন্নীত হত। এসব ব্রাহ্মণগণ অর্থের লোভে নিজ স্ত্রীকে সন্তানলাভের
জন্য কালিমন্দিরে পাঠাত। দেবি আরাধনার পর এসব স্ত্রীরা দেবতাকর্তৃক সন্তানগ্রহণের উদ্দেশে
মন্দিরের পার্শ্ববর্তী গৃহে অবস্থান করত। ইংরেজ বণিক ও নাবিকগন দেবতা হয়ে ব্রাহ্মণদের
স্ত্রীদের আর্শীবাদ করত। এই আর্শীবাদে যার সন্তান লাভ হত তাকে প্রচুর অর্থ দিয়ে প্রতিষ্ঠিত
করা হত। এভাবেই ভারতের সকল শহরে অসংখ্য বউবাজার প্রতিষ্ঠা হয়। বউবাজারে পয়দা হওয়া
এসব অর্থশালী সন্তানগণ পলাশী যুদ্ধ, ১৮৫৭-৫৮ সালের যুদ্ধসহ সকল ক্ষেত্রে ইংরেজদের প্রধান
ভরসার স্থল ছিল। ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত এদের বলা হত এংলো-ইন্ডিয়ান। ১৯৪৭ এর পর এরা সবাই
উচ্চবর্ণের ব্রাহ্মণ হয়ে যায়।
আমাদের পূর্বপূরুষগন ১৭৫৭ থেকে ১৯৪৭
সাল পর্যন্ত ১৯০ বছর লড়াই-সংগ্রাম করে আহত-নিহত-পঙ্গু, দীপান্তরিত হয়ে ১৯৪৭ সালের ১৪ই
আগস্ট বিশাল ভারতের দুই প্রান্তে দুটি ভূখণ্ড লাভ করে এবং টিকে থাকার শক্তি অর্জন করতে
উভয় ভূখণ্ড মিলে ১৯৪৭ সালের ১৪ই আগস্ট পাকিস্তান প্রতিষ্ঠা করে। এটি ছিল আমাদের প্রথম
স্বাধীনতা দিবস। আমরা আমাদের এই স্বাক্ষীনতা দিবসের বীর ও শহীদানদেরকে ভুলে যাওয়ার
যাবতীয় প্রচেষ্টা গ্রহন করে অবশেষে ১৯৭১ সালে আমাদের এই ভূখণ্ডটিকে লিখিতভাবে ভারতের
হাতে তুলে দিই।
১৯৭১ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত আমাদের
জাতীয় নেতৃবৃন্দ ও আমার ভারতের বিজয় দিবসকে নিজেদের বিজয় দিবস হিসাবে পালন করে নিজেদের
সাথে প্রতারণা করেছি। এর একটি প্রমান হল-
১। ১৯৭১ সালের ৩রা ডিসেম্বর ভারতীয়
সেনাবাহিনী ও আমাদের মুক্তিবাহিনী একটি চুক্তিস্বাক্ষরের মাধ্যমে যৌথবাহিনী গঠন করে।
অতপর ১৯৭১ সালে ১৬ ডিসেম্বর এ বাহিনী পূর্ব পাকিস্তান (বাংলাদেশ) দখল করে। পূর্ব পাকিস্তানের
সেনাপ্রধান লে. জেনারেল নিয়াজী ভারতীয় সেনাবাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় সেনা কামান্ডার লেঃ
জেনারেল অরোরার নিকট অস্ত্রসহ আত্মসমর্পণ করেন। এ সময় নিয়াজী পূর্বপাকিস্তানের সার্বভৌমত্বের
দলিল অরোরার হাতে তুলে দেন। এসময় দেশি-বিদেশি সংবাদ মাধ্যম ও ঢাকায় অবস্থিত বিদেশি
রাষ্ট্রদূতগণ উপস্থিত ছিলেন। (সূত্র : বাঙালির মুক্তিযুদ্ধের অন্তরালের শেখ মুজিব -লেখক
কালিদাস বৈদ্য, পৃ:-১৬৮)
উল্লেখ্য, মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি
জেনারেল ওসমানী, গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীসহ হেলিকপ্টারে বিজয়
দিবসের অনুষ্ঠানে আসার পথে তাদের হেলিকপ্টারে গুলি করে নামানো হয়। সারেন্ডার দলিলে
মুক্তিবাহিনীর কাউকে সাক্ষী হিসাবেও রাখা হয়নি। এছিল আমাদের বিজয় দিবসের নামে পরাজয়
দিবস। এদেশের সকল অস্থাবর সম্পদ ভারতীয় বাহিনী গনিমতের মাল হিসাবে নিয়ে যায়। ১৬ই
ডিসেম্বর ১৯৭১ থেকে ভারত বাংলাদেশের সাথে অধিকৃত ভূখণ্ডের মতই আচরণ করেছে। এর দুইটি
উদাহরন হল-
১। ১৯৪৭ সালের ১৪ই আগস্ট থেকে ১৯৭১
সালের ১৬ ই ডিসেম্বর পর্যন্ত ভারত একজন পূর্ব পাকিস্তানিকে ও সীমান্তে গুলি করে হত্যা
করেনি। ভারত সীমান্ত হত্যা শুরু করে ১৯৭২ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত। অধিকৃত কাশ্মীরের
সাথে ভারত যে আচরন কারে বাংলাদেশের সাথে একইরূপ আচরণ করেছে।
২। বাংলাদেশের আকাশ সীমা যেসব বিদেশী
বিমান ব্যবহার করে তার ট্যাক্স নেয় ভারত। ২০২৪ সাল পর্যন্ত কোনো বাংলাদেশি শাসক নিজের
আকাশ সীমার টেক্স নেয়ার সাহস করেনি।
২০২৪ সালের ৫ই আগস্ট এমন একটি ঐতিহাসিক
দিন যেদিন বাংলাদেশের ছাত্র-যুব- জনতা কোন পরাশক্তির প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ সহায়তা ছাড়াই
ভারতের সেবাদাসী সরকারকে উৎখাত করে নিজেদের পছন্দমত সরকার গঠন করেছে এবং নিজেদের দেশ
নিজেরা পরিচালনা করছে। এই ৫ই আগস্ট যেন ১৯৪৭ সালের ১৪ই আগষ্ঠের ন্যায় আমরা ভুলে না
যাই তার জন্য যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। ৫ই আগস্টের নায়ক ও ভিলেনদের তালিকা করতে
হবে, যারা শহীদ হয়েছেন তাদের তালিকা প্রনয়নপূর্বক যথাযথ সম্মানজনক ব্যবস্থা নিতে
হবে। আহতদের সুচিকিৎসা ও পূনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হার। ৫ই আগস্টকে জাতীয় স্বাধীনতা
দিবস ঘোষণা করতে হবে। ১৬ই ডিসেম্বরকে ‘বিজয় ছিনতাই দিবস’ হিসাবে পালন করতে হবে। মুক্তিযোদ্ধাদেরকে
ভারত ও আওয়ামীলীগের প্রতারণার স্বীকার দেশপ্রেমিক হিসাবে সম্মান করতে হবে। মুজিব বাহিনী,
কাদেরিয়া বাহিনী, আওরঙ্গ ও লিয়াকত বাহিনীকে ভারতের স্বার্থরক্ষা বাহিনী হিসাবে নিন্দা
জানতে হবে।
পরিশেষে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন
সরকার ও দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, আপনারা নিশ্চয় জানেন, ১৯৭৫
সালের ১৫ আগষ্ট স্বৈরাচারী সরকারের পতনের পর বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা বাহিনীতে ১৭ বার
অভ্যুত্থান হয়েছিল। ১৮ তম বারে ভারত সফল হয় এবং দেশপ্রেমিক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান
নিহত হন। দেশ পূনরায় ভারতীয় চক্রান্তের নিকট জিম্মী হয়। এমতাবস্থায় আপনারা যদি আত্মতৃপ্তিতে
মশগুল হন, সাম্রাজ্যবাদের গোপন ও প্রকাশ্য
সেলসমূহ বিনষ্ট না করেন এবং নতুন সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ
দেওয়ার সময় তার অতীত কার্যকলাপ যাচাই
না করেন তবে একই ঘটনার পূনরাবৃত্তির সম্ভাবনা আছে। ২৯/০৮/২০২৪ তারিখের এনটিভি’র খবরে
দেখা গেল চুয়েট ছাত্রলীগের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক, বিগত সরকারের আমলে বিশ্ববিদ্যালয়
মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য, টকশোতে জালেম সরকারের পক্ষ্মাবলম্বন করা সাজজাদ হোসেনকে গুম-খুন
তদন্তে গঠিত কমিশনের সদস্য হিসাবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এরূপ গাদ্দারকে অবশ্যই এই কমিটি
থেকে বহিষ্কার করতে হবে এবং যে বা যারা তাকে এই কমিটির সদস্য কারার জন্য সুপারিশ করেছে
তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে যাতে ভবিষ্যতে কেউ এমন চরিত্রের ও পক্ষের লোকের জন্য
সুপারিশ না করে। আরও কিছু নিয়োগেও এমন ভুল করা হয়েছে। ভারত পরিচালিত তথাকথিত গণ আদালতের
সাথে জড়িত লোককেও গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
এমতাবস্থায় অত্যন্ত সতর্কতার সাথে
লোক বাছাই করতে হবে, ভারতের দালালদের ছাঁটাই করতে হবে এবং সকল প্রকার বিদ্রোহ ও অভ্যুত্থানের
ছিদ্রপথ বন্ধ করতে হবে। অন্যথায় জাতিকে পুনরায় চরম মূল্য পরিশোধ করতে হবে। কোন কিছু
সম্ভব না হলে ভারত চাইবে এদেশকে গৃহযুদ্ধে নিমজ্জিত করতে।
তাং- ২৯/০৮/২০২৪
হযবতনগর, দেওয়ানবাড়ি, কিশোরগঞ্জ